উন্নয়নের বিড়ম্বনায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক
বি এ রায়হান, গাজীপুর: বিগত আট বছর যাবৎ চলমান বিআরটি প্রকল্পের কাজের ধীর গতির ফলে দুর্ভোগে আছে গাজীপুর সহ এই জেলার লাখো মানুষ। প্রতি বছর বর্ষার মৌসুম এলেই ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্নঅংশে সৃষ্টি হয় বড় বড় খানাখন্দ যার ফলে রাজধানীর ট্রাফিক উত্তর বিভাগের বিশ্বরোড, এয়ারপোর্টে, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর সহ গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের দক্ষিন অঞ্চলের টঙ্গীবাজার, স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, হোসেন মার্কেট, গাজীপুরা বাসস্টেন্ড হয়ে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত এবং টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে ঘোড়াশাল কালীগঞ্জ সড়কের মিরের বাজার এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকা জুরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বিশ্বরোড থেকে টঙ্গীব্রিজ পর্যন্ত ২০ মিনিটের রাস্তা পার হতে এখন সর্বনিম্ন সময় লাগছে ৪ ঘণ্টার মতো অপরদিকে গাজীপুর থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করতে ৩০ মিনিটের রাস্তা পারি দিতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা মতো। যা পথযাত্রীদের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। চলমান বিআরটি'র আট লেনের উড়াল সেতুর কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় যানজট লেগে থাকাটা স্বাভাবিক থাকলেও এ বছরে বৃষ্টির শুরু থেকে সড়কে পানি জমে বড় বড় খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এয়ারপোর্ট থেকে আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী বাজার, স্টেশন রোড, চেরাগআলী, এরশাদনগর গাজীপুরা বাসস্টেন্ড পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে গাড়ি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে পরিবহন চালকদের খুব ঝুকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় নতুবা যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেন পরিবহন চালকরা। গাজীপুরে বসবাসরত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত এক ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন এই রাস্তাদিয়ে অফিসে যেতে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকসময় পথে হেটে গিয়েও যথাসময়ে অফিসে গিয়ে পৌছাতে পারি না। এই দূর্ভোগ যেনো এখন নিত্যদিনের। তবে কবে এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো তা আমাদের জানা নেই। এবিষয়ে গাজীপুরের রাস্তায় চলাচলকারী তুরাগ পরিবহনের চালক আব্দুর গফুর জানান, রাস্তার যে অবস্থা এখন গাড়ী চালানো কষ্টকর হয়ে পরেছে। কাদাপানি, গর্ত, ভাঙ্গাচোরার কারণে যেই যানজট সৃষ্টি হয় তাতে গাজীপুরের রাস্তায় এখন আর গাড়ি চালানো সম্ভব না। গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রাস্তার বিভিন্নস্থানে কাদাপানি, গর্ত, ভাঙ্গাচোরার কারণে পরিবহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে না যার ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। তবে যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এবিষয়ে বিআরটির প্রকল্পের অতিরিক্ত সচিব নিলিমা আক্তারের সাথে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।